এক ভুক্তভোগী সুলতানা পারভীন (৫৫) গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে বাদী হয়ে কাজী সোহেল (৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা কোটে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। আসামি কাজী সোহেল (৩৫) পিতা মৃত ভুলু কাজী ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ছোট গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে যে, গত ১৫ ই মে ২০২৫ ইং তারিখে বাদিনীর নিজ বাসভবনে গিয়া আসামি কাজী সোহেল ১০ লক্ষ টাকা অথবা ১৩ শতাংশ জায়গা চাঁদা দাবি করে পাঁচ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে আসেন অন্যথায় ভুক্তভোগীর দুই সন্তান মোঃ সুরুজ দেওয়ান (৩৭) এবং মোঃ মানিক দেওয়ান (৩৫) কে মিথ্যা সন্ত্রাস বিরোধী মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দিয়ে আসেন।
পাঁচ দিন পরে গত ২০ মে ২০২৫ তারিখে মোঃ সুরুজ দেওয়ানকে ডেকে নিয়ে দাবিকৃত ১০ লক্ষ টাকা কবে দিবে জানতে চাইলে সুরুজ দেওয়ান চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং মোঃ সুরুজ দেওয়ান পেশায় একজন দলিল লেখক হওয়ায় তার দলিল লেখার লাইসেন্স বাতিলের হুমকি প্রদান করেন। এরপরেও টাকা না পাওয়ায় গত ২ আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে রাত আটটার সময় কাজী সোহেল সহ অজ্ঞাতো আরো ৪-৫ জনকে সাথে নিয়ে সুলতানা পারভীনের বাসায় গিয়ে চাঁদার ১০ লক্ষ টাকা দিতে বলে এবং টাকা না দেওয়ায় সুলতানা পারভিন কে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য উদ্রিত হলে বাসার এবং আশেপাশের মানুষজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আমরা মামলার বাদি সুলতানা পারভীনের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে, মামলা দায়ের করার পরেও আসামি কাজী সোহেল বিভিন্নভাবে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে আসিতেছে এবং মামলার সাক্ষীদেরকেও হুমকি প্রদান করতেছে। তিনি আরো বলেন শুধু এই বাড়ি নয় গত ২০১৫ সালের দিকে তখনকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে যোগাসাদিস করে আমাদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আদায় করেছিল এবং এখন আবার বর্তমান ক্ষমতাসীনদের সাথে মিসে গিয়ে একই কায়দায় আমাদের কাছ থেকে জায়গা অথবা টাকা হাতেয়ে নেওয়ার পায়তারা করতেছে। গত ২ আগস্টের হামলার পর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায় তাই আমরা কোটে গিয়ে মামলা করেছি। এই মামলাটি এখন সিআইডি তদন্তাধিন আছে আমি এটার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুস্থ বিচার দাবি করতেছি যাতে আমি আমার পরিবার নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারি।
এলাকায় সরোজমিনে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়, এই আসামি কাজী সোহেল ভুক্তভোগী পরিবারের উপর অনেকদিন ধরেই বিভিন্নভাবে জোর জুলুম করে আসতেছে। শুধু তাই নয় এই কাজী সোহেল গত দেড় বছরে একটি ছোট্ট ভাঙ্গা বাড়ি থেকে বিল্ডিং ও দুইটি দোকান দিয়েছেন এবং বর্তমান ক্ষমতাসীনদের সাথে মিশে গিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন সরকারি ওএমএস ডিলারশিপ লাইসেন্স। এই লাইসেন্সের বলে সরকারি কার্ড ধারী গরিব মানুষদের ১৫ টাকা মূল্যে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও সে সেটা না করে রাত্রের আধারে অন্যত্র চাল বিক্রি করে দিচ্ছে এতে এলাকার গরিব মানুষ এই ১৫ টাকা মূল্যের চালের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মামলার ব্যাপারে আসামি কাজী সোহেলের সাথে কথা বলতে চাইলে সে কথা বলতে রাজি হয়নি।
মামলার ব্যাপারে আমরা সিআইডির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন মামলাটি তদন্ত দিন আছে এবং তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।