• শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

রূপালী ব্যাংকের নতুন আতঙ্ক ফ্যাসিস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এর ভাইপো মোস্তাহিদুর রহমান

২৪ ঘন্টা / ৪২৫
বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫

ভয় ভীতি প্রদর্শন ও নানাবিধ অপকর্মের সাথে জড়িত রূপালী ব্যাংকের প্রশাসন ও মানব সম্পদ বিভাগে দায়িত্বরত সহকারী মহাব্যবস্থাপক জনাব মোঃ মোস্তাহিদুর রহমান। তিনি বদলী বানিজ্য সহ ঋণ বিতরণের জন্য বিভিন্ন শাখা ব্যবস্থাপককে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করছেন।

সদ্য ফ্যাসিস্ট মুক্ত নতুন বাংলাদেশে পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এর ভাইপো এই মোঃ মোস্তাহিদুর রহমানকে। শুধু পদোন্নতি নিয়ে ক্ষ্যান্ত হননি তিনি, পদায়ন করা হয়েছে ব্যাংকের সংবেদনশীল প্রশাসন ও মানব সম্পদ বিভাগে। শহীদের রক্তের সাথে এটা তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। ফ্যাসিষ্ট সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট এই দোসরকে কিভাবে পদোন্নতিপূর্বক প্রশাসন ও মানব সম্পদ বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে তা এখন সকলের বিস্ময়!

জানা যায় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলমের প্রত্যক্ষ ভুমিকায় মুস্তাহিদুরের পদোন্নতি ও পদায়নে মুখ্য ভূমিকা ছিলো। এই পারসা আলম নারায়নগঞ্জে সাত খুন মামলার আসামী সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পারিবারিক সদস্য হিসেবে ব্যাংক পাড়ায় পরিচিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ফ্যাসিস্ট এর দোসর যার পিতা মরহুম জানে আলম, যিনি মরহুম শেখ মজিবুর রহমানের একান্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এর ভাইপো মোঃ মোস্তাহিদুর রহমান প্রশাসন ও মানব সম্পদ বিভাগের যোগদানের পর থেকে নির্বাহী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছে একটা আতংকের নাম। জনাব মোস্তাহিদ নিজেকে অনেক জ্ঞানী মনে করেন, অনেক হ্যাডাম নিয়ে কথা-বার্তা প্রকাশ করায় ব্যাংকেত অনেক কর্মকর্তা ও নির্বাহী বিরক্ত। মোস্তাহিদুর রহমান ঋণ গ্রহীতাদের বিভিন্ন শাখায় পাঠিয়ে শাখা ব্যবস্থাপককে ঋণ দিতে বাধ্য করেন। ঋণ দিতে না চাইলে শাখা ব্যবস্থাপক সহ অনেককে অন্যত্র বদলী করে দেয়ার হুমকি দেন। তার সর্বশেষ প্রতিহিংসার শিকার ঢাকা বিভাগের বাদামতলী শাখার শাখা ব্যবস্থাপক জনাব আশিকুর রহমান। পুরান ঢাকার ব্যস্ততম শাখায় তার চাহিদা অনুযায়ী একজন প্রিন্সিপাল অফিসারকে ব্যবস্থাপক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে, অথচ ব্যাংকে অনেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার/ সহকারী মহাব্যবস্থাপক আছেন যারা শাখা ব্যবস্থাপক হওয়ার যোগ্য। তিনি এতটাই ক্ষমতাশালী যে তার ব্যাচ ব্যতীত অন্য ব্যাচের কোন নির্বাহী/ কর্মকর্তা কে পছন্দ না হলে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে তাদের নামে বিভিন্ন কথা বলে বদলী করার সুপারিশ করেন। সর্বশেষ তিনি রমনা শাখার একজন সিনিয়র অফিসার কে ঢাকা থেকে বাহেরচর পটুয়াখালী মিচুয়্যাল ( মিচুয়্যাল বদলীর কোন আবেদন না থাকার পরও) বদলী করেন। রমনা শাখা উক্ত কর্মকর্তা বিআইবিএমএ এমবিএ অধ্যায়ন থাকায় বদলী আদেশ হওয়ায় পর চিন্তায় আছেন বলে জানা যায়। তাছাড়া আরও অনেক বদলী আছে যা তিনি করছেন টাকার বিনিময়ে বলে একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন। তার মত একজন প্রভাবশালী নির্বাহীর ভয়ে কর্মচারী, কর্মকর্তা ও নির্বাহী সবাই আতংকে। সর্বশেষ ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ন ভিজিলেন্স বিভাগে তার আশির্বাদপুষ্ট একটি জেলার ( ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আলমগীর- এজিএম, মফিজ, নীলা ও আলম ) ৪ জন কর্মকর্তা পদায়ন করেছেন তার অপছন্দের লোকদের হয়রানি জন্য।
তাছাড়া জনাব মোস্তাহিদ ব্যাংকের নারী কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ভাবে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে হয়রানি করেন । নারীদের হয়রানি করা তার পুরাতন অভ্যাস। তিনি জাহাঙ্গীর নগরে অধ্যায়নরত অবস্থায় একটি হিন্দু মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের কারনে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন বলে শোনা যায়। যার কারনে পরিবার থেকেও তিনি বিচ্ছিন্ন । শুরু থেকেই তিনি একটা অপদামস্ত অভদ্র, অসামাজিক ও অবৈধ কাজের সাথে জড়িত একজন ব্যক্তি ।
এ সব দুর্নীতিগ্রস্থ ছাত্র জনতা হত্যার কারিগর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লিগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এর ভাইপো মোঃ মোস্তাহিদুর রহমান কিভাবে ব্যাংকের প্রশাসন ও মানব সম্পদ বিভাগ এর মত গুরুত্বপূর্ন স্থানে পদায়ন হওয়া আর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে অস্বীকার করা একই ??? এর দায় কি ব্যাংক পরিচালনা কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করতে পারে না ?

অথচ ফ্যাসিবাদের সময়েও সে প্রশাসন ও মানব সম্পদ বিভাগে কর্মরত ছিলেন এবং অবৈধ হস্তক্ষেপ করে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


এই ক্যাটেগরির আরও খবর