বিশেষ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার কাদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ০৯ নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলম বেলাল ফ্যাসিস্ট আমলে বিভিন্ন মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচার, এমনকি খুনের অভিযোগ নিয়েও দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বীরদর্পে।
কাদিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন এবং বেগমগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন এর সহযোগিতায় ও ছত্রছায়ায় বেলাল সকল অপকর্ম করতো বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
মাদকের পাশাপাশি বেলালের অন্যতম নেশাই ছিলো জমি দখল, চাদাবাজি ও নারী নির্যাতন।
১৬ নং কাদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক মেম্বার বলেন, মৃত হাফেজ ছাকায়েত উল্যাহ এর সন্তান জাহাঙ্গীর আলম বেলালের অত্যাচারে অতিষ্ট ছিলো স্থানীয় জনগণ। আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা হওয়ায় এবং সিনিয়র নেতাদের সহযোগিতায় ধরাকে সরা জ্ঞান করতো না। বিগত সরকারের আমলে অত্যাচার করেও এখন বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জনমনে প্রশ্ন এসেছে কে আছে বেলালের পিছনে। কোন অদৃশ্য শক্তির বলে বেলাল পার পেয়ে যাচ্ছে?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগের সময় বেলাল তিন বার ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করেন। সে এতোই শক্তিশালী ছিলো যে, সামান্য কথা কাটির কারনে তার পাশ্ববর্তী বাইল্লা বাড়ির বাসিন্দা কামাল উদ্দিনকে রাতের অন্ধকারে মুরাদপুকুরপারে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত পূর্বক ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কিন্তু ভাগ্যের বিষয় কামাল উদ্দিন জীবিত থেকে যায়। এবং এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ থানায় বেলালের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। যাহা স্থানীয় ভাবে আপনারা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা জানতে পারবেন।
স্থানীয়দের ভিতরে বহুল চর্চিত যে, কামাল উদ্দিনের ব্যাপারে বেলালের ক্ষোভ থেকে যাওয়ায়, সে প্রতিশোধ নেয়ার অপেক্ষায় বসে থাকে এবং পরিশেষে সুযোগ বুঝে ঘটনার বেশ কয়েকমাস পরে বেলালের নিজ বাড়ির উত্তরপাশে কামালকে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে তার উদ্দেশ্য পূরণ করে। এলাকাবাসীকে কামালকে ডাকাত বানিয়ে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা রটিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। উক্ত বিষয়ে বেলালের মামা আনোয়ার হোসেন (স্থানীয় দোকানদার) ও তার ভাই কেফায়েতউল্লাহ ঘটনা ধামাচাপায় সহযোগিতা করে বলে স্থানীয়রা জানায়।
ইতিপূর্বে দোকানদার আনোয়ারের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় তারই কাস্টমার একটি মামলা করে। যাহার তদন্তে জানা যায়, ঠিক বেলালের স্টাইলেই শাহআলম নামের ওই ক্রেতাকে সামান্য কথা কাটাকাটির কারণে হত্যাচেষ্টা করে।
স্থানীয়রা জানায়, বেলাল গং অত্যন্ত উগ্র প্রকৃতির। স্থানীয় কাউকে তারা তোয়াক্কা করে না।
অভিযুক্ত বেলাল সাংবাদিকদের বলেন, আমি স্যার তাকে কিছুই করেনি। আমাকে উল্টো বাড়ি দিয়েছে। এদের পরিবারের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। তাদের পরিবারকে আমরা সহযোগিতা করি।
বেলাল বুঝতে পেরেছে তার বক্তব্যে সে ফেঁসে যাচ্ছে। তাই কথা না বাড়িয়ে ফোন কেটে দিয়েছে।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিটিং এ থাকায় ফোন ধরতে পারেনি। তবে কথা হয় চৌমুহনী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ খোকন চন্দ্র ঘোষের সাথে। তিনি বলেন, ওসি স্যার মিটিং এ আছে। আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।