নিজস্ব সংবাদদাতা:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটার বিষয়ে যৌক্তিক সমাধান হবে আদালতে। এ নিয়ে কোনো ধরনের উস্কানিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, “ছাত্রলীগকেও সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। কোনো ধরনের উস্কানিতে পা দেয়া যাবে না”। কোটা সংস্কারের দাবীতে শিক্ষার্থীদের এবং পেনশনের দাবীতে শিক্ষকদের দাবীর ব্যাপারে বলেন, এই দু’টি কর্মসূচি চলমান অবস্থায় খুব সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন- “আমরা যতটুকু জানি তারা (শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার চায়”৷
মঙ্গলবার কোনো কর্মসূচি না দেয়ায় আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, উচ্চ আদালতের চলমান মামলায় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন এবং আদালতে যথা সময়ে হাজির হবে। এটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
তবে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিস্কার। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে একটা পরিপত্র জারি করে তখন কোটামুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এতোদিন সরকারি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার ৭ সন্তান মামলা করেন। মুক্তিযোদ্ধার বিষয় নিয়ে। হাইকোর্ট একটা রায় দেয়। এই রায়ের বিপক্ষে সরকার পক্ষ থেকে আপিল করা হয়।
সরকার এখানে আপিল করেছে কারণ যে সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মামলা করেছে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। সেজন্য আপিল বিভাগে সরকারকে যেতে হয়েছে।
তারা নিজেরাই যখন তাদের প্রতিনিধি আইনজীবী কোর্টে প্রতিনিধিত্ব করবে তাদের কথা কোর্ট শুনবে, সরকার পক্ষের কথাও শুনবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সব পক্ষের কথা শুনে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিন। সে পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান কাদের।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যে যাই করি জনদুর্ভোগের কারণ যাতে সৃষ্টি না হয় সে আন্দোলনকারীদের সতর্ক মনোযোগ আকর্ষণ করছি। এ নিয়ে আমাদের কারো কোন প্রকার উস্কানিতে যাবো না। আমাদের কেউ যেন উস্কানিতে না যায় সেজন্য সবাইকে সতর্ক ও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।”
কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা সেভাবেই চলছি। তিনি অনেক আন্দোলন করেছেন, মোকাবিলা করেছেন। তার অভিজ্ঞতার আলোকে, তার নেতৃত্বে আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এখানে যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছাত্রলীগকে খুব সতর্কভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। উস্কানিতে কান দেয়া যাবেনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও যাতে উস্কানি না দেয়া হয়, সেইনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ আছে যদিও আনুষ্ঠানিক বসাবসি হয়নি বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, একটা ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। এটা অরাজনৈতিক আন্দোলন। শিক্ষকদের আন্দোলনও অরাজনৈতিক এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনও অরাজনৈতিক। এই আন্দোলনে বিএনপি এখন তাদের সমমনাদের উস্কানি দিচ্ছে।
২০১৮ সালে কোটা বিরোধী আন্দোলনের ভর করেছিল বিএনপি।
নির্বাচনে যায়নি,এখন যদি কোটা সংস্কার আন্দোলনের উপর করে দুরভিসন্ধি বাস্তবায়ন করা তাদের লক্ষণ বলেও মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।