• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সমাজ কল্যাণের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে উম্মুল খায়ের সিদ্দিকা!! ‘শিগগিরই একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চায় ঐকমত্য কমিশন’ পিএসদের দুর্নীতির কথা শুনলে আনন্দে ডিগবাজি দেবেন শেখ হাসিনা: রিজভী ফরিদপুরে সরকারি জমিতে পলাতক এমপির নজর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বড় ৭ পদক্ষেপ হাসপাতালের টয়লেটের ঝুড়িতে মিলল নবজাতকের মরদেহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট এর কাছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির চাঁদা দাবী, না হয় বদলির হুমকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই পৃথিবী গঠনের আহ্বান ড. ইউনূসের মায়ের বুক খালি করা রাজনীতি আমরা চাই না : ধর্ম উপদেষ্টা ‘আপা চলেন প্রেম করি’— এক লাইনেই বউ পেলেন জামিল!

সমাজ কল্যাণের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে উম্মুল খায়ের সিদ্দিকা!!

২৪ ঘন্টা / ৫
বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫

সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক উম্মুল খায়ের সিদ্দিকা বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি প্রকল্পে কমিশন বানিজ্য করে নিজ পরিবারের জন্য নামে বেনামে সম্পদ ক্রয় করেছেন।
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে অবস্থিত দুঃস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসন কেন্দ্র প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক থাকার কারনে বিভিন্ন কাজ থেকে মোটা অংকের কমিশন বানিজ্য করেছে বলে প্রতিবেদকের কাছে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
সম্প্রতি দুঃস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসন কেন্দ্র গাজীপুর প্রকল্পে লিফট সরবরাহ নিয়ে অনিয়ম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অভিযোগ উঠেছে। পিপিআর-২০০৮ এর ধারা ১৬ (১১) অনুযায়ী ১ কোটি টাকার বা তদূর্ধ্ব মূল্যের কার্যপন্য এবং সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়ের জন্য সিপিটিইউ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার বিধান থাকলেও তিনি তা না করে পছন্দের চারটি কোম্পানিকে ডেকে দরপত্র গ্রহণ করে। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিলো ওয়ালটন। যার পরিমান ছিলো ৩৮০১৪৮৫৯ টাকা। কিন্তু তিনি সর্বনিম্ন দরদাতা ওয়ালটনকে না দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা ৪৫০০৩৭৭৭ টাকায় ড্যাফোডিলকে কার্যাদেশ দেয়। এই একটি কার্যাদেশ থেকেই তিনি ১০% নিয়েছেন বলে তার ডিপার্টমেন্টে আলোচনায় আছে।

কে এই উম্মুল খায়ের সিদ্দিকা?
উম্মুল খায়ের সিদ্দিকা গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়। তার স্বামী ফায়ার সার্ভিসের সাবেক পরিচালক যুগ্ন সচিব মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম। বর্তমানে মিস্টার ইসলাম বাংলাদেশ পারমানবিক কমিশনে ওএসডি অবস্থায় আছেন। ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় তিনি মাদারীপুরের ডিসি ছিল। আওয়ামীলীগ সরকারকে নির্বাচনে সহযোগিতা করার জন্য বর্তমানে রয়েছেন গোয়েন্দা নজরদারিতে। বাড়ি কিশোরগঞ্জ হওয়ায় ছিলো সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। উম্মুল খায়ের সিদ্দিকা মুলত ক্ষমতার দাপটে ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন না। উম্মুল খায়ের সিদ্দিকা ছিলেন একজন কলেজ শিক্ষিকা। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে তার স্বামী যুগ্ন সচিব মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম তাকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন।
তিনি প্রকল্পের গাড়ি ভাড়া নিজের নামে নেয়। অথচ ব্যবহার করে মিস্টার ইসলাম এর গাড়ি। বিভিন্ন কেনাকাটায় ভুয়া বিল ভাউচার করেন যা তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন নির্ভরযোগ্য সূত্র।
গত বছরের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি ৩০ দিনের ছুটি নিয়ে ছেলের ট্রিটমেন্ট করানোর মিথ্যা অযুহাত দিয়ে আমেরিকায় যান। এবং আমেরিকায় একটি এপার্টমেন্ট ক্রয় করেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়। এর দুই বছর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনি তার স্বামী যুগ্ন সচিব মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম এর সাথে ১৩ দিনের জন্য আমেরিকা সফর করে আসেন।
বিগত সরকার এর সময়ে তিন সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা যে ২২ ডিসিকে (ডেপুটি কমিশনার) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে তার ভিতর প্রকল্প পরিচালক উম্মুল খায়ের সিদ্দিকা স্বামী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের পরিচালক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম রয়েছে। বিগত সরকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং দাপুটে আমলার স্ত্রী এখনো প্রভাব খাটিয়ে চলছে এবং কমিশন বানিজ্য করছে দেখে অবাক হচ্ছেন তার সহকর্মীরা।

প্রকল্প পরিচালক উম্মুল খায়ের সিদ্দিকার স্বামী যখন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ছিলো তখন নিয়োগ, বদলি বানিজ্য এবং টেন্ডার ইস্যুতে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ ওঠে। যা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এখনো আছে। কথিত আছে স্বামীর কাছ থেকেই ট্রেনিং পেয়েছে উম্মুল খায়ের সিদ্দিকা। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, দুঃস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসন কেন্দ্র গাজীপুর প্রকল্পের অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ে দুদকে অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক উম্মুল খায়ের সিদ্দিকা বলেন, আমি কোন কমিশন বানিজ্য করিনি। টেন্ডার সঠিক প্রক্রিয়া মেনেই করা হয়েছে।


এই ক্যাটেগরির আরও খবর