• বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
আমাদের একতার শক্তিতে, কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলকে আমরা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবোঃ কাজী ইয়াদুল ইসলাম তুষার কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত পবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রাতুল ও সম্পাদক সোহেল রানা জনি জ্যোতিষী ছালাম শিকদারের দৃষ্টিতে কেমন হবে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিস্থিতি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের নেতা রূপালী ব্যাংকের এমডি হলেন জুলাই গণহত্যার আসামী ফ্যাসিবাদ কোনো ব্যক্তি নয়, মানসিক রোগের নাম: জহির উদ্দিন স্বপন চেয়ারম্যান-কমিশনার পদত্যাগ না করায় বিএসইসিতে কর্মবিরতি রাজউকের পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ভাগ্য খুলল ইবতেদায়ি শিক্ষকদের পবিত্র কোরআনে বর্ণিত জাকাত বণ্টনের খাতসমূহ

তিন দাবি জানিয়ে অবরোধ তুলে নিলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

২৪ ঘন্টা / ৯
বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫

রাষ্ট্র পুনর্গঠন কাঠামোতে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ এবং ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের দাবিতে রাজশাহীতে রেললাইন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্টেশনবাজার সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

এতে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে তিন দফা দাবি জানিয়ে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। আজকের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা এবং দাবি উত্থাপন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব।

তাদের দাবিগুলো হলো- ১. রাবি, জাবি, চবি, জবি, সাত কলেজ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ বাংলাদেশের সব স্টেকের যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

২. সংস্কার কমিশন, পিএসসি, ইউজিসিসহ রাষ্ট্রীয় সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো পুনঃর্গঠন করে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

৩. ডিসেন্ট্রালাইজড বাংলাদেশ গঠনে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

এর আগে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা- ‘ঢাবি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘অবৈধ সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ঢাবি না রাবি, রাবি রাবি’, ‘ঢাবি না খুবি, খুবি খুবি’, ‘সিন্ডিকেট না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’, ‘ঢাকা না বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, জুলাই বিপ্লবে দেশের প্রতিটি প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয়, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের একটা দুর্গ গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সেই একক আধিপত্যবাদের ব্যাপারটা আবার চলে এসেছে। ইউজিসি-পিএসসিতে সদস্য, সংস্কার কমিশন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য, এমনকি উপদেষ্টামন্ডলী— সবকিছুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনে দেশের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান থেকে রক্ত ঝরেছে, তাহলে সুবিধা কেন একটি প্রতিষ্ঠান পাবে?


এই ক্যাটেগরির আরও খবর