মাদারীপুরে শিবচরে নির্মাণাধীন বিশেষায়িত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ হাইটেক পার্ক স্থানান্তর করা হচ্ছে না, শিবচরেই নির্মাণ হবে এই পার্ক। আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কুতুবপুরে নির্মাণাধীন হাইটেক পার্ক পরিদর্শনে এসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এসব কথা বলেন।
শিবচরের কুতুবপুরে নির্মাণাধীন ‘বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক’ স্থানান্তর করা হচ্ছে এমন সংবাদের প্রতিবাদে বেশ কিছুদিন ধরে শিবচরের সর্বস্তরের জনগণ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে আসছে। তারই ফলশ্রুতিতে আজকে কুতুবপুরে হাইটেক পার্ক এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় সচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইসিটি বিভাগকে এই প্রকল্পটিসহ ২১টি প্রকল্পের মূল অবকাঠামো ঠিক রেখে নির্মাণ ব্যয় কতটুকু সাশ্রয় করা যায় সে নির্দেশ দিয়েছিল। সে অনুযায়ী কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটি প্রতিবেদনে টাকা সাশ্রয়ের কথা বলেছে। কিন্তু আমরা সরজমিনে প্রকল্পগুলো আবারো পরিদর্শন করতে চাই এবং আজকে কুতুবপুরে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক পরিদর্শন করতে এসে দেখলাম এই এলাকায় কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটি নেই, এটি ঢাকার খুবই কাছে একটি এলাকা। এমন একটি প্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলে থাকাটা জরুরি বলে আমি মনে করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হাইটেক পার্কের এমডি আমিনুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন শাখা) মোহাম্মদ সাইফুল হাসান, নির্বাহী প্রকোশলী ফিরোজ আহমেদ, মাদারীপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ হাবিবুল আলম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা) মো. নূরে আলম সিদ্দিক, শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভিন খানম, শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাইখা সুলতানাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে নেয়া এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ প্রযুক্তির নানাখাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর পাশে মাদারীপুরের শিবচরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
বিশেষায়িত এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি। অধিগ্রহণ করা ৭০ একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছিল। যেখানে বালু ফেলে ভরাটের কাজ শুরু হয়েছিল। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নানা কাজে জুলাই ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৪৮ কোটি টাকা।