• মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া কে এই শরীফ জহির?? শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি চীনের সঙ্গে ২১টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি এবং ৭টি ঘোষণাপত্র সই হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতিবস্থা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট চাকরির প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত তাঁরা, জানত পিএসসি ঢাকা-বেইজিং ২১ চুক্তি ও ৭ ঘোষণাপত্র সই ভবনের নকশায় নতুন শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা গণপূর্তমন্ত্রীর কোটাসংক্রান্ত দুই আবেদনের শুনানি বেলা সাড়ে ১১টায় ঝুঁকি থাকা সত্বেও কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের সৈকত নিরাপত্তা নির্দেশনা নেই কুয়াকাটায় সৈয়দ আবেদ আলীর হোটেল সান মেরিনা এখন টক অব দ্যা টাউন

কোটাসংক্রান্ত দুই আবেদনের শুনানি বেলা সাড়ে ১১টায়

২৪ ঘন্টা / ৫৫
বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪

কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষে করা আবেদন শুনানির জন্য আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সময় নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সকালে এই সময় নির্ধারণ করেন।

হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনটি ক্রম অনুসারে উঠলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের একটি আবেদন আছে। দুই শিক্ষার্থীও আবেদন করেছেন। একসঙ্গে বেলা সাড়ে ১১টায় শুনানির আরজি জানান তিনি।

আদালত বেলা সাড়ে ১১টায় শুনানির সময় নির্ধারণ করেন।

দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও রিট আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী শুনানিতে ছিলেন।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দুটি আবেদনই আজ বেলা সাড়ে ১১টায় শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন আদালত।

হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনকারী দুই শিক্ষার্থীর একজন আল সাদী ভূঁইয়া। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি। অপরজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।

এ দুই শিক্ষার্থীর আবেদন করার সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন চেম্বার আদালত হয়ে ৪ জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। রিট আবেদনকারী পক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন আপিল বিভাগ নট টুডে (৪ জুলাই নয়) বলে আদেশ দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়। এ অবস্থায় কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী গতকাল মঙ্গলবার আবেদন করেন।


এই ক্যাটেগরির আরও খবর